শখ থেকে মাইমুনার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

মাইমুনা মোস্তফা মুনা পড়াশোনা করছেন রাজধানীর একটি কলেজে। পাশাপাশি নিজেকে গড়ে তুলেছেন উদ্যোক্তা হিসেবে। নানা রকম হস্তনির্মিত গহনা নির্মাণ করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। শুরুর দিকে বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের জন্য এটি করে থাকলেও বর্তমানে তার আয়ের উৎস।

মাইমুনা বলেন, ‘আমি মূলত ক্লে (হাতের তৈরি গহনা) নিয়ে কাজ করি। স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করি। কারণ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার ইচ্ছা ছোট থেকেই। কিন্তু নিজের শখের কাজ যে ব্যবসার পিলার হবে, সেটা বুঝতে পারিনি।’

জীবনের প্রথম অর্ডার পেয়েছিলেন বন্ধুদের থেকে। তারপর আর তার পেছনে ফিরতে হয়নি। মাইমুনা বলেন, ‘আমার গহনাগুলো সম্পূর্ণভাবে হাতের তৈরি। প্রথমে ফুলের তৈরি নানা গহনা বানাতাম। এরপর পরিবার ও সহপাঠীরা গহনাগুলো পছন্দ করতেন। তাদের অনুপ্রেরণায় অনেক কিছু নিয়ে কাজ করার চেষ্টার করলাম। এবার হস্তনির্মিত গহনা নিয়েও চেষ্টা করে দেখি। এরপর জীবনের প্রথম অর্ডার আসে সহপাঠী থেকে। সে তার ছোট বোনের জন্য অর্ডারটি করেছিল।’

শখ থেকে মাইমুনার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

আরও পড়ুন
• বিসিএস একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া: শুভ রায় সুমন
• বাবার পরিশ্রমই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা: রহমত উল্লাহ

নানা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে মাইমুনার চেষ্টায় হস্তনির্মিত গহনা বর্তমানে অনেক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। তিনি বলেন, ‘এক্সিবিশনের পাশাপাশি রাজধানীর বেশকিছু দোকানে আমার হস্তনির্মিত গহনার চাহিদা আছে। পাশাপাশি আমার পেজ ‘আওয়ার ইজি কালেকশন’ থেকেও চাইলে গ্রাহকরা পণ্য অর্ডার করতে পারবেন।’

তবে এতদূর এগিয়ে গেলেও বিপত্তি কম আসেনি মাইমুনার জীবনে। তিনি বলেন, ‘আমার মতে একজন ছোট উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হিসেবে প্রথম প্রতিবন্ধকতা হলো সঠিক দিকনির্দেশনার অভাব। বিভিন্ন ধরনের হেনস্তার শিকার হই, যা আমাদের ক্ষুদ্র পুঁজি ক্ষতিগ্রস্ত করে।’

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাইমুনা বলেন, ‘বর্তমানে নিজের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে পরিচিতি বাড়ানোর চেষ্টায় আছি। এ ছাড়া নিজের ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে অন্যদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাই।’