জাল সনদধারী শিক্ষকদের ধরতে কার্যক্রম শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। দেশের সব শিক্ষা অফিসে চিঠি দিয়ে সনদধারীদের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরে এসব তথ্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।
অভিযোগ আছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাল সনদ বানিয়ে অনেক ভুয়া শিক্ষক কর্মরত। দীর্ঘদিন থেকে এমপিও সুবিধাও নিচ্ছে। তাদের ধরতে কাজ শুরু করেছে এনটিআরসিএ। জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়ার ঘোষনা দেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন জানান, প্রতিষ্ঠা কাল থেকে কর্মরত সকল শিক্ষক কর্মচারীর তথ্য সংগ্রহ করছে এনটিআরসিএ। তাদের মধ্যে কেউ জাল সনদধারী থাকলে তাকে সনক্ত করে এমপিও বাতিল সহ আইনী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এর সাথে এপর্যন্ত নিবন্ধন ধারীদের মধ্যে কতজন কর্মরত ও কতজন বেকার সেই পরিসংখ্যানও প্রকাশ করা হবে।
এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এপর্যন্ত ১৫ টি নিবন্ধন পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ তম নিবন্ধন পরিক্ষার কার্যক্রম এখনও চলমান। ১থেকে ১৫ তম শিক্ষক নিবন্ধনে এপর্যন্ত ৬ লাখ ৩৪ হাজার ১২৭ জনকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১ লাখ ৮২১ জনের বয়স ৩৫ বছরের উর্ধে হয়ে গেছে। এনটিআরসিএ এর নীতিমালা অনুযায়ী তারা আর শিক্ষক হতে পারবে না। এখনও ২ লাখ ৮৮ হাজার প্রার্থী এখনো বেকার অবস্থায় আছে যারা এখনো কোথাও চাকরি করেন না।
জাতীয়করন হওয়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের নিবন্ধন সন্দ যাচাই করতে গিয়ে অনেকেরই জাল সনদ ধরা পড়ছে। তাই আশংকা করা হচ্ছে আরাও অনেক জাল সনদধারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে।