প্রাথমিক শিক্ষায় বড় পরিবর্তন আসছে। সে আলোকে নতুন ৮টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ শুরুও করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
এরমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ‘হ্যালো টিচার’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা এই অ্যাপস দিয়ে শিক্ষার্থীরা পছন্দের শিক্ষক বাছাই করে পরাম’র্শ নিতে পারবে।
সেক্ষেত্রে অ’ভিভাবকদের ফোন ব্যবহার করে হ্যালো টিচার অ্যাপসের মাধ্যমে শি’শুরা তাদের প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, অ্যাপস ছাড়াও প্রাথমিকে নতুন আরও ৭টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সে মোতাবেক এখন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ডে বাংলায় নাম লিখতে হবে। নামের আগে ‘…..নং’ কথাটি ব্যবহার করতে পারবে না।
নতুন সিদ্ধান্তের মধ্যে আরও রয়েছে- জুম অ্যাপস ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষকরা সহকারী উপজে’লা শিক্ষা অফিসারদের সাঙ্গে সভা করবেন; টেলিভিশনে ‘ঘরে বসে শিখি’ কার্যক্রমে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী যেন যু’ক্ত করতে অ’ভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকরা যোগাযোগ করবেন; সময়সূচি স্থানীয় ম’সজিদের মাইকের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র তৈরি করে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে কিংবা ফোনে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে তা মূল্যায়নের ব্যবস্থা করবেন।
এছাড়া ঈদুল আজহার আগেই প্রাথমিক শিক্ষার্থীদেরকে ‘কিডস অ্যালাউন্স’ দেওয়া হবে। বিধি অনুযায়ী একই রংয়ের শার্ট, স্কাট, প্যান্ট, টাই ও জুতা কেনার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কর্মক’র্তারা ‘রিকভা’রি অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠাবেন।
প্রাথমিক
প্রত্যেক বিদ্যালয়ের নামে ফেসবুক আইডি খুলতে হবে। শিক্ষকরা পাঠদান ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড দেবেন। বিদ্যালয়ের ভবনে ‘বাস্তবায়নে এলজিইডি’ না লিখে ‘বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ লিখতে হবে।
বিদ্যালয়ের সব ধরনের মেরামত ও স্লিপের কার্যাবলি যথাসময়ে শেষ করে প্রধান শিক্ষকদের নির্ধারিত তারিখে বিল ভাউচার দাখিল করতে হবে।