বিশ্বের অনেক গোয়েন্দা এজেন্সির এজেন্টরাও মানে স্পাইরাও মানুষকে চিনতে “বডি ল্যাঙ্গোয়েজ” এর সাহায্য নিয়ে থাকেন। কারণ গোয়েন্দাদের মতো প্রতিটি মানুষেরই একটা শরীরি ভাষা আছে, তা ভাষা যদি একবার বুঝে নেওয়া যায়, তাহলেই কেল্লাফতে!
আচ্ছা আপনাদের মনে কখনও এমন ইচ্ছা জাগে না যে আশেপাশের মানুষগুলির মনের ভিতরে ঢুকে তাদের আসল চরিত্রটা জেনে নেওয়ার? করে তো! তাহলে আর আপেক্ষা কেন। ঝটপট চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে। লেখাটি পড়ার পর যে দিল খুশ হয়ে যাবে, তা হলফ করে বলতে পারি।
মানুষকে চিনবেন কীভাবে, এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা দেশের বিখ্যাত সব গোয়েন্দারা একাধিক বই লিখেছেন। সেই সব বইয়ের কোন কোনটায় এক আজব বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া গেছে। কী সেই আজব বিষয়? বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিটি মানুষের বসার ধরণ আলাদা আলাদা হয়। এও এক ধরনের শারীরি ভাষা। তাই তো বসার ধরণকে বিশ্লেষণ করেও কোনও অচেনা মানুষ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে যাওয়া সম্ভব। যেমন ধরুন…
বসার ধরণ ১:
উপরের ছবিটা একবার দেখুন। কাউকে যদি এইভাবে বসতে দেখেন, জানবেন তিনি বেজায় দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষ। শুধু তাই নয়, এমন মানুষেরা বিপদ দেখলেই ছুট লাগায়। ছোট হোক কী বড়, কোনও ধরনের সমস্যা সামলানোর ক্ষমতাই এদের থাকে না। এক কথায় এমন মানুষদের মনের জোর খুব কম হয়। সহজ কথায় ভীতুও বলা যেতে পারে। তবে এদের চরিত্রের কিছু দিক বেশ চমকপ্রদও বটে। যেমন, এমন মানুষেরা খুব ক্রিয়েটিভ হন। তাই তো শিল্পী হিসেবে খুব সফল হন।
বসার ধরণ ২ :
এরা কাল্পনিক মনের অধিকারী হন। অন্য ধরনের নানা ভবনা সারাক্ষণ এদের মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। হাসি-খুশি থাকার বিষযেও এদের জুড়ি মেলা ভার। তাই তো মন খারাপ করা প্রায় সব কিছু থেকেই দূরে থাকতে ভালবাসেন এমন মানুষেরা। সহজ কথায় জীবন কীভাবে বাঁচতে হয়, তা এমন মানুষদের থেকেই জানা উচিত। তাই তো বলি, কোন সময় যদি এমন ধরনের কাউকে পেয়ে যান, তাহলে একদম পিছু ছাড়বেন না যেন! দেখবেন খুশির পাত্র কোনও দিন খালি থাকবে না আপনার।
বসার ধরণ ৪ :
এমনভাবে যারা বসে থাকেন, তারা সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ হন। সময়ের কাজ সময়ে করতে খুব ভালবাসেন। সেই সঙ্গে বেশ চুপচাপ থাকতেও পছন্দ করেন।
বসার ধরণ ৫:
জীবন যে খাতেই যাক না কেন, এরা কোনও কিছু নিয়েই বেশি ভাবতে চান না। তাই তো সিদ্ধান্ত নিতে কোনও সময় কষ্ট করতে হয় না। কারণ এদের মন যা বলে, তাই করতেই এমন মানুষেরা ভালবাসে। তবে এদের চরিত্রের সবথেকে ভাল দিক হল, এমন মানুষের কোনও কিছু নিয়েই তাড়াহুড়ো করেন না। কারণ এরা বিশ্বাস করেন, “ঠিক ঠিক সময়ে ঠিক জিনিস হবে, অযথা তাড়াহুড়ো করে কোনও লাভই হয় না।” এতকিছু বলে ফেললাম, দেখুন একটা জিনিসই জানা হল এতক্ষণে। কী বলুন তো! আরে মশাই আপনি কীভাবে বসেন!