‘আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই, মরলে এখানেই মরতে হবে’

‘এমন বন্যা আমরা আগে কখনো দেখিনি। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কষ্টে আছি। বাড়িতে পানিবন্দি হয়ে আছি আজ দুদিন। এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তাও পাইনি। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের বাসিন্দা আফরোজা বেগম। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় তার।

আফরোজা বলেন, আমাদের গ্রামের প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে। আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। মরলে এখানেই মরতে হবে।

টানা বর্ষণ ও হালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ফটিকছড়ি উপজেলার অসংখ্য মানুষ। হালদা নদীর উজান থেকে আসা পানির স্রোতে নারায়ণহাট, ভুজপুর, পাইন্দং, লেলাং, সমিতিরহাট, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিলসহ উপজেলার অধিকাংশ নিচু এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

বন্যায় হালদা নদীর পয়েন্টে থাকা বাঁধের ১৬টি স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হালদা নদী ছাড়াও লেলাং খাল, ধুরুং খাল, সর্তা খাল, ফটিকছড়ি খাল, মন্দাকিনী খাল, গজারিয়া খাল, তেলপারি খাল, কুতুবছড়ি খালের তীর ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যায় ফটিকছড়িতে ১৩টি ইউনিয়নের তিন হাজার ১৭৫টি পরিবার পানিবন্দি এবং প্রায় ১৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ মেট্রিক টন চাল ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম।

Leave a Comment