কম্পিউটারের মাউস কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ মাউস। ভালো মানের একটি মাউস কিনলে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে। সেই সঙ্গে কাজে আরামদায়ক অভিজ্ঞতা হবে। তাই মাউস কেনার আগে কিছু বিষয় খেয়াল করতে হবে। ভালো মানের মাউস নির্বাচনের সময় যে বিষয়গুলো দেখতে হবে সেসব উঠে এসেছে মেক ইউজ অবের প্রতিবেদনে।

সংযোগ: দুই ধরনের মাউস রয়েছে, তারযুক্ত ও তারহীন। তারযুক্ত মাউসে রেসপন্স সময় যথেষ্ট কম। তাছাড়া ব্যাটারির ঝামেলায় পড়তে হয় না। অন্যদিকে তারহীন সংযোগ দুই ধরনের- ব্লুটুথ সংযোগ ও ২ দশমিক ৪ গিগাহার্টজ সংযোগ। কিছু মাউসে দুটি সুবিধা একসঙ্গেই থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি রিসিভার কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করে মাউসে ব্যাটারি লাগিয়ে নিলেই নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে ঝামেলাহীন ব্যবহার করা যাবে।

সেন্সর: দুই ধরনের সেন্সরযুক্ত মাউস পাওয়া যায়- লেজার ও অপটিক্যাল। লেজার সেন্সরযুক্ত মাউসগুলো কাচ ও প্রতিবিম্ব তৈরি করে এমন সমতল ও কিছুটা অবতলেও কাজ করতে পারে। তবে ধুলার মতো ক্ষুদ্র কণায় সেন্সরটি পুরোপুরি কাজ করতে পারে না। তাছাড়া এ সেন্সরযুক্ত মাউসগুলোর দাম কিছুটা বেশি। অন্যদিকে অপটিক্যাল মাউস প্রতিবিম্ব নেই এমন সমতল অংশে ভালো কাজ করে। ক্ষুদ্র কণা থাকলেও কাজ করতে পারে।

বিল্ড কোয়ালিটি: সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত যন্ত্রাংশটির বিল্ড কোয়ালিটির ওপর নির্ভর করে এর টেকসই ও ব্যবহার অভিজ্ঞতা। প্লাস্টিক, মেটাল ও রাবারের সমন্বয়ে তৈরি হয় মাউস। হাতে ঠিকভাবে এঁটে থাকছে কিনা তা এসবের ওপর নির্ভর করে। তাছাড়া ওজনেও হেরফের হয়। তাই প্রয়োজন অনুসারে যাচাই করা যেতে পারে।

দাম ও ব্র্যান্ড: বাড়তি সুবিধা নিতে গেলে দাম একটু বেশি লাগবে। এ ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড বিবেচনায় আনাটাও জরুরি। কারণ ওয়ারেন্টি বা বিক্রয়োত্তর সেবা ভালো ব্র্যান্ডের মাউসগুলোয় যথাযথভাবে দেয়া হয়।

মাউসের আকার: কাজের ধরন বুঝে মাউসের আকার ও গঠন কেমন হবে তা নির্ধারণ করা জরুরি। মাউসের একটি বিশেষ ধরন ‘আরগোনমিকস’। এ মাউসগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যা হাতের তালুর সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায়। এতে দীর্ঘসময় কাজেও আরামদায়ক অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। তবে আকারে বেশ খানিকটা বড় হয়। প্রতিদিনের কাজ বা ভ্রমণে যাওয়ার সময় ছোট আকারের মাউস নির্বাচন করা যেতে পারে।

ওজন: ওজন ও ভারসাম্যের পার্থক্যের কারণে হাতের কবজিতে বাড়তি চাপ পড়তে পারে। গেমাররা সাধারণত হালকা ওজনের মাউস বেশি পছন্দ করেন। কারণ, তাদের কারসরের নড়াচড়া বেশ দ্রুত হয়। তবে গেমিং মাউসে ভারসাম্য বজায় রাখতে ওজন কমবেশি করা যায়। অন্যদিকে সূক্ষ্ম কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা ওজনসম্পন্ন মাউজ প্রয়োজন হতে পারে।

বাটন ও কাস্টমাইজেশন: সাধারণ একটি মাউসে দুটি বাটন ও একটি স্ক্রল হুইল থাকে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী বাটনের সংখ্যা বেশি হয়। সেগুলো আবার প্রয়োজন অনুসারে কাস্টমাইজ বা পরিবর্তন করে নেয়া যায়। এর জন্য আলাদা সফটওয়্যারও পাওয়া যায়। মাউস কম্পিউটারে সংযুক্ত করলে সফটওয়্যারের মাধ্যমে একেকটি বাটনে একেকটি কাজের নির্দেশনা দেয়া যায়। তাছাড়া কারসর কত দ্রুত নড়বে এ বিষয়ও ঠিক করে নেয়া যায়।

Leave a Comment