বগুড়ার শাজাহানপুরে মসজিদের মাইকে আজান দেয়ায় মজনু মিয়া (৫৫) নামে এক মুয়াজ্জিনকে মা’রপি’টের অ’ভিযোগ উঠেছে। মজনু মিয়া উপজে’লার বেজোড়া দক্ষিণপাড়ার মৃ’ত মজিবর রহমানের ছেলে।
এঘ’টনায় সোমবার রাতে মজনু মিয়া বা’দী হয়ে থানায় এজাহার দা’য়ের করেছেন। মজনু মিয়া জানান, তিনি বেজোড়া দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে মু’য়াজ্জিনের চাকরি করেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার ম’সজিদের মাইকে জোহরের নামাজের আজান দেন।
আজান শেষে ম’সজিদের পাশের বাড়ির মৃ’ত খলিলুর রহমান মু’ন্সির ছেলে মাহবুবুর রহমান ওরফে রাজা মিয়া (৬৫) তাকে ডে’কে বাড়ির ভে’তর নিয়ে যান। বাড়ির ভে’তর যাওয়া মা’ত্র রাজা মিয়া তাকে বলেন ‘তুই আর মসজিদের মাইকে আজান দিবি না।
আমার স’মস্যা হয়। খালি মুখে আজান দিবি’- এই বলে অ’কথ্য ভা’ষায় গা’লিগা’লাজ করেন। প্র’তিবাদ করলে রাজা মিয়া ক্ষি’প্ত হয়ে তাকে বে’দম মা’রপিট করেন এবং শ্বা’সরোধ করে মে’রে ফেলার চে’ষ্টা করেন। এসময় চি’ৎকার দিয়ে দৌ’ড়ে বাইরে এলে আশাপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উ’দ্ধার করে।
মসজিদ কমিটির সে’ক্রেটারি রাজা মিয়া জানান, মাহবুবুর রহমান ওরফে রাজা মিয়ার স্ব’ভাব ভালো না। তিনি এ’কজন মু’ক্তিযো’দ্ধা এবং আ’ওয়ামী লীগ করেন। এ কারণেই তিনি কোনো কিছু প’রোয়া ক’রেন না। তার হাত থেকে প্র’তিবেশী এমন কি রিক’শাচালকও রেহায় পায়নি।
তাদের সাথেও অ’সদাচা’রণ করেছেন। তিনি দী’র্ঘদিন ধরে মসজিদ নিয়ে ষ’ড়য’ন্ত্র করছেন। মসজিদে আজান দেওয়া নিয়ে আগের মুয়াজ্জিনের সাথেও অ’সদাচ’রণ করেছেন। মসজিদের মা’ইকে আ’জান দিলে নাকি তার কা’নের স’মস্যা হয়।
সে কারণে মাইক ঘু’রিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তিনি মু’য়াজ্জিনকে মা’রপিট করেছেন। এবি’ষয়ে মাহবুবুর রহমান ওরফে রাজা মিয়ার সাথে কথা বলতে তার মোবাইল ফোনে যো’গাযোগের চে’ষ্টা করা হলে তার ভাতিজা ফয়সাল ফোন ধরে বলেন, মাহবুবুর রহমান অ’সুস্থ।
তিনি কথা বলতে পারবেন না। শাজাহানপুর থা’নার ওসি আজিম উদ্দীন জানান, অ’ভিযোগ পেয়েছি। ত’দন্তসা’পেক্ষে আ’ইনি ব্য’বস্থা নেওয়া হবে।