রাজধানীর মিরপুর-১২ ও বসুন্ধ’রা আবাসিক এলাকার একটি ভবনে জাল টাকার কারখানা থেকে পৌনে চার কোটি জাল টাকা ও ৪৪ লাখ জাল রুপিসহ ৬ জনকে আ’ট’ক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যা’ব)।১০০ টাকার আসল নোট’কে পানিতে সিদ্ধ করে রং তুলে ফেলার পর শুকিয়ে সেটিতেই দেওয়া হয় ৫০০ টাকার ছাপ।
ফলে টাকার কাগজ ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য প্রায় অক্ষুন্ন থাকে। ছাপাও এমন নিখুঁত হয় যে দেখে জাল বলে বোঝার কোনো উপায়ই থাকে না। এতে সহ’জেই প্রতা’রণা’র ফাঁদে পড়েন মানুষ। আ’ধুনিক প্রযু’ক্তি ব্য’বহার করে জাল মু’দ্রা তৈ’রিতে জ’ড়িত একটি চক্রে’র ছয় সদ’স্যকে গ্রে’প্তারে’র পর সোমবার গণমা’ধ্যমকে এসব তথ্য জা’নায় র্যা’ব-২।
গ্রে’প্তারকৃ’তরা হলেন- সেলিম, মনির, মঈন, রমিজা বেগম, খাদেজা বেগম ও এক কি’শোর (১৫)। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে মিরপুরের ১২/ই ব্লকের ৬২ নম্বর বাসা ও বসুন্ধ’রা আবাসিক এলাকার জি-ব্লকের ১৬১ নম্বর বাসা থেকে তাদের গ্রে’প্তার করা হয়। এ সময় চার কোটি (১০০০ টাকার নোট ) জাল টাকা ও ভা’রতীয় জাল রুপি (আনুমানিক ৪০ লাখ, ৫০০ ও দুই হাজার রুপির নোট) এবং জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ডাইস ও কা’টার উ’দ্ধার করা হয়।
এ ছাড়াও প্রায় ২৫/৩০ কোটি টাকার জাল নোট বানানোর কাঁচামাল (কাগজ, কালি ও জলছাপ দেওয়ার সমাগ্রী) পাওয়া গেছে।র্যা’ব-২ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) জ্যেষ্ঠ এএসপি জাহিদ আহসান জানান, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন এবং ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে অসাধু চক্র দেশব্যাপী জাল টাকা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
টাকা
বিশেষ করে কোরবানির পশুর হাটের লেনদেনকে কেন্দ্র করে জাল টাকার কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা আধুনিক প্রযু’ক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জাল টাকা তৈরি করে বাজারে ছাড়ছে। ১০০ টাকার নোট সিদ্ধ করে তাতে ৫০০ টাকার ছাপ এবং বিশেষ রং, কাগজ ও প্রিন্টার ব্যবহার করে এক হাজার টাকার জাল নোট তৈরি করে আসছিল তারা।
গ্রে’প্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যা’ব জানায়, তারা সবাই জাল টাকা তৈরির সংঘ’বদ্ধ চ’ক্রের সদস্য। তাদের মধ্যে মনির’কে জাল টাকা ছা’পা’নোর কাজে সহযোগিতা করত মঈন। সে প্রিন্ট করা টাকা নির্দিষ্ট আকার অনুযায়ী কে’টে নেও’য়ার পরি’কল্পনা করে’ছিল। রমি’জা বেগম কাগজে আঠা লাগা’নোর কাজে সেলি’মকে সহা’য়তা করত।
সাদা কা’গজে নকল নিরা’পত্তা সুতা বসিয়ে জলছা’প দেওয়ার কাজ করত খা’দিজা বেগম ও এক কি’শো’র। জ’ব্দ করা বিপুল পরি’মাণ জাল টাকা কোরবানির ঈদে বা’জারে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।করো’নাকালে জাল টাকার ছড়া’ছড়ি দেশের আর্থ’সামা’জিক অব’স্থাকে দু’র্বল করে দিতে পারে। তাই অ’প’রাধী’চক্রে’র বি’রু’দ্ধে আগের মতোই ধারাবাহিকভাবে অ’ভিযান চালাচ্ছে র্যা’ব।