গ্রামাঞ্চলে এখনও এই প্রথা চালু আছে যে, পুরুষদের মেয়েদের চুলে হাত দিতে নেই। এমনকি তারা আত্মীয় হলেও তা করা উচিৎ নয়!
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মেয়দের চুলের গড়ায় সেক্স গ্রন্থি থাকে। যার ফলে চুলে হাত দিলে বাঁ ধরলে কামনা বাড়তে থাকে। যা মোটেই কাম্য নয়। সেজন্যে এই প্রথা। সুতরাং এই প্রথার প্রয়োজনীয়তা নিশ্চয় সর্বকালের সমানভাবে গ্রহণীয়।
বয়স ৮০ পেরিয়ে নব্বইয়ের ছুঁই ছুঁই। এই বয়সে অনেকেই বিছানা থেকে উঠতে পারেন না, সেখানে হুগলির জিরাটের বাসিন্দা অনিল চান আরেকটি বিয়ে করতে। কিন্তু ছেলে-মেয়েরা তাতে বাধা দেওয়ায় সোজা চলে গেলেন হাইকোর্টে। আর সেখানে বৃদ্ধের আর্জি শুনে হতভম্ব হাইকোর্টের বিচারপতি।
পশ্চিমবঙ্গের হুগলির জিরাটের বাসিন্দা অনিল পেশায় হুগলি জেলা আদালতের আইনজীবী। তবে তাঁর আর্জি শুনে সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর মন্তব্য, ‘‘এই বয়সে বিয়ে? বৃদ্ধের মানসিক চিকিত্সা প্রয়োজন। ’’ যদিও আদালত অবশ্য এই আবেদনে কোনো হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। অনিলকে প্রয়োজনে নিম্ন আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি এই মামলাটি নিষ্পত্তি করেছেন।
জানা গেছে, বিয়ের জন্য পাত্রী চেয়ে গত ৯ এপ্রিল বিয়ে করতে চেয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন অনিল। বিজ্ঞাপনে তিনি জানিয়েছিলেন, পাত্রী ষাটোর্ধ্ব হবেন। পেশায় আইনজীবী হলে ভাল। অনিলের কথায়, কয়েকজন যোগাযোগও করেছেন তাঁর সঙ্গে। কিন্তু জানতে পেরে বেঁকে বসেছেন ছেলেমেয়েরা। তাঁর ছেলেমেয়েরা সকলেই বিবাহিত।
অনিলের অভিযোগ, এই বিয়ে আটকাতে তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। গত ১ মে তিনি বলাগড় থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে তাঁকে মানসিক চিকিত্সার পরামর্শ দিয়েছে। তাই তিনি হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।