বিয়ের আগে দুজনেই বেকার ছিলেন। পরে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে স্ত্রী উর্মি দেব হন পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এএসপি)। অপরদিকে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) হন উজ্জল ঘোষ। সম্প্রতি এসআই উজ্জল ঘোষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম ফেসবুকে দুজনের এই সম্পর্কের বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। মুহুর্তের মধ্যে সেটি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।
এসআই উজ্জলের ওই স্ট্যাটাসে তিনি সমাজে নারীদের অবস্থান নিয়ে নেতিবাচক ধারণার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘যখন অহরহ পোষ্ট দেখি মেয়েরা লোভী হয়, মেয়েরা বিসিএস স্বামী খুঁজে পেলে সব ছাড়তে পারে, মেয়েরা টাকা আর অবস্থান ছাড়া আর কিছু বোঝে না আমার তখন খুব হাসি পায় মায়ের জাত নিয়ে কি আমাদের চিন্তাধারা এটা ভেবে।’
এসআই উজ্জলের দেয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তলে ধরা হলো, আমি সাব-ইন্সপেক্টর উজ্জল ঘোষ। ছবিতে আমার সাথে যাকে দেখা যাচ্ছে তিনি জনাব উর্মি দেব, এসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ বাংলাদেশ পুলিশ (এএসপি)। পেশাগত জীবনে তিনি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আর ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি আমার সহধর্মিণী। পুলিশিং পেশার ব্যাপারে যাদের একটু ধারনা আছে তারা বলতে পারবেন অবস্থানগত দিক থেকে আমার সহধর্মিণীর অবস্থান আমার থেকে কতটা উপরে। না, আমাদের বিয়ের পর আমাদের কারও চাকরি হয়নি। আমার আর আমার সহধর্মিণীর অবস্থানের এই আকাশ পাতাল পার্থক্যের তোয়াক্কা না করে এই দেবীতুল্য মানুষটা আমাকে আপন করে নিয়েছিলেন। বেহিসেবী ভালবাসা দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন আমার জীবন। দাম্পত্য জীবনে আমার থেকে সুখী বোধ করি আর কেউই নেই (একান্ত আমার নিজস্ব চিন্তাচেতনা)।
যখন অহরহ পোষ্ট দেখি মেয়েরা লোভী হয়, মেয়েরা বিসিএস স্বামী খুঁজে পেলে সব ছাড়তে পারে, মেয়েরা টাকা আর অবস্থান ছাড়া আর কিছু বোঝে না আমার তখন খুব হাসি পায় মায়ের জাত নিয়ে কি আমাদের চিন্তাধারা এটা ভেবে। একজন বিসিএস কর্মকর্তা যে কিনা আমার মত একজন সামান্য মানুষকে এতটা আপন করে নিয়েছেন তিনিও তো একজন মেয়ে। আশির্বাদ প্রার্থী।