দারিদ্র্যের মধ্যেও স্বপ্ন বোনা – বেলায়েত হোসেনের গল্প।শরীয়তপুরের এক ছোট্ট গ্রামে, চায়ের দোকান ধরে সংসার চালানো বাবার ছায়ায় বড় হলেন বেলায়েত হোসেন ইমরোজ। ছোটবেলায় অভাবের কারণে মাধ্যমিক স্কুলের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার জন্য। পড়াশোনার আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও, ছেলেকে দোকানে চা বিক্রি করতে বাধ্য করলেন বাবা।
কিন্তু ভাগ্য এবং মেধা তার পথে বাঁধা দিল না। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর, ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়ায় গ্রামের শিক্ষক এবং স্বজনদের অনুরোধে অবশেষে রাজি হলেন বাবা—ছেলেকে পড়ালেখার সুযোগ দেওয়ার জন্য।
দারিদ্র্য ও কষ্টের ছায়ায় বেড়ে ওঠা বেলায়েত হোসেন হাল ছাড়েননি। পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং অটল সংকল্পে, ৪১তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে দর্শন বিষয়ে সারা দেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেন।
বেলায়েতের চোখে গর্ব, মা-বাবার চোখে আনন্দ। তিনি নিজেই বললেন:আমি সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান। মা-বাবা আমাকে উন্নত জীবন দিতে দেশের সেরা বিদ্যাপীঠে পাঠিয়েছেন। তাদের সেবা করতেই আমি বাকি জীবন কাটাতে চাই।”
শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর বাছারকান্দি গ্রামের এই ছেলেটি প্রমাণ করল—দারিদ্র্য কখনো স্বপ্নের পথে বাঁধা হতে পারে না।
বেলায়েত হোসেনের এই গল্প শুধু এক সন্তানের নয়, একটি পরিবারের লড়াই, সংকল্প এবং বিশ্বাসের গল্প। তিনি নিজে বললেন, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের সফল হওয়ার পথ খুলে দিতে চাই।